একাডেমিক তথ্য :

<ভর্তি কার্যক্রম> <একাডেমিক ক্যালেন্ডার> <একাডেমিক সাবজেক্ট> <পাঠ্যক্রম> <সিলেবাস> <সাজেশান> <ক্লাশরুটিন> <পরীক্ষার রুটিন> <সহশিক্ষা কার্যক্রম> <ছুটির তালিকা>

সকল নোটিশ [ক্লিক করুন]

 

 

প্রধান শিক্ষকের বাণী

খন্দকার আফিয়া সুলতানা

পুরাতন ঢাকার ঐতিহাসিক নবাবপুর রোডের পাশে  ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় শহীদদের স্মৃতি বিজরিত আমাদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়”। কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যের আঁধার এ প্রতিষ্ঠানের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধশালী ও গতিশীল করতে ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নানামুখী কর্মসূচী গ্রহণ করেছি। অত্র প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি জননন্দিত ব্যক্তিত্ব জনাব মঈনুর রহমান জুয়েল সাহেবের ঐকান্তিক সহযোগিতায় এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাল্টি-মিডিয়া শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, মানসম্পন্ন স্যানিটেশন ব্যবস্থা, ডিপ-টিউবওয়েলের মাধ্যমে এবং ফিল্টার ব্যবহারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করা হয়েছে। একসেস্ কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে একাডেমীর নিরাপত্তা ও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মেটাল ডিটেক্টর দ্বারা প্রবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সর্ব-উন্নত শিক্ষা, সর্বোচ্চ নৈতিক মূল্যবোধ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ দেশপ্রেম এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল দর্শন বুকে ধারণ করে আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে নবীন আর প্রবীণের সমন্বয়ে এক ঝাঁক কর্মচঞ্চল অভিজ্ঞ শিক্ষক-কর্মচারী দিন-রাত কাজ করে চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছাবো ইন-শা-আল্লাহ।

সভাপতি মহোদয়ের বাণী

খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল

জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রথম সোপান হলো শিক্ষা। শিক্ষা একটি জাতিকে সৎ, সুন্দর ও সৃজনশীল করে গড়ে তুলে। বর্তমান সরকার জ্ঞান বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর তথা ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সময়ের এ প্রেক্ষাপটে পুরাতন ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করে আসছে। শিক্ষা প্রদান ছাড়াও খেলাধূলা, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে এ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অগ্রগণ্য। আমি বর্তমান সভাপতি, শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ এবং অভিভাবকদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ! আমরা শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়কে দেশের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রত্যাশা করি- এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা সৎ, সুন্দর ও সাফল্যময় জীবনের অধিকারী হয়ে নিজের, পরিবারের ও প্রতিষ্ঠানের মুখ উজ্জ্বল করবে। আল্লাহ আমাদের সহায় হউন।

 

প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি :

মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অত্যন্ত সুনাম ও সফলতার সাথে নিরলসভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করে আসছে। এই মহতী কাজে আমাদের রয়েছে অগণিত সুহৃদ ও অভিভাবকের মত একদল পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান, অভিজ্ঞ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত  আত্মনিবেদিত শিক্ষক/শিক্ষিকা, সু-শিক্ষার উপযোগি নিজস্ব ক্যাম্পাস ও একাধিক বহুতল ভবন  খোলামেলা সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ। দক্ষ প্রশাসন ও শিক্ষা বান্ধব ব্যবস্থাপনা পরিষদ। তা ছাড়া বছরের বিভিন্ন সময় অভিভাবক-শিক্ষক মত বিনিময় সভা,বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান, বনভোজন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করা হয়। শিক্ষক-অভিভাবক মত বিনিময় সভায় যে কোন অভিযোগ ও পরামর্শ নিয়ে খোলামেলা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর উৎকর্ষ সাধনে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার, ব্যবস্থাপনা পরিষদ ও এলাকার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিগণ নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বিদ্যালয়টি সব সময় আন্তরিক ও সচেষ্ট।

অবস্থান :

ঢাকা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র ওয়ারী থানার অন্তর্গত নবাবপুর রোডের পূর্ব পাশে বিদ্যালয়টি অবস্থিত।

প্রশাসনিক কাঠামো :

শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় একটি এম,পি,ও ভুক্ত সরকারী মঞ্জুরী প্রাপ্ত বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক পরিচালিত ।

শিক্ষা কার্যক্রম :

প্রভাতী ও দিবা শাখায় পৃথকভাবে বালক বালিকাদের পাঠদান করা হয়। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার ক্লাস। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার ।

প্রভাতী শাখা :

প্লে থেকে ৫ম শ্রেণি  (বালক ও বালিকা)

: ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি  (বালিকা)

সময় : সকাল ৭.০০মিনিট থেকে ১২.0৫ মিনিট

দিবা শাখা :

৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি  (বালক)

সময় : ১২.২০ মিনিট থেকে ৫.২০ মিনিট

বিভাগ    :

৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে পাঠদান।

শিক্ষাবর্ষ :

১লা জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বর ।

১ম শ্রেণি হতে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত বোর্ড বই বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।

.

পরীক্ষা :

বছরে ৩টি পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা, এ ছাড়াও আছে শ্রেণি পরীক্ষা, মাসিক পরীক্ষা, তাৎক্ষনিক পরীক্ষা।

ফলাফল :

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জে,এস,সি ও এস,এস,সি পরীক্ষায় আকর্ষণীয় ফলাফল।

শ্রেণিকক্ষ :

অধিকাংশ শ্রেণি কক্ষে মাল্টি মিডিয়া ক্লাসের সুবিধা রয়েছে।

ব্যবহারিক ক্লাস :

ব্যবহারিক বিষয়ে নিয়মিত ব্যবহারিক ক্লাসের ব্যবস্থা।

অতিরিক্ত ক্লাস :

দূর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা ।

সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম :

গার্লস গাইড, বয়স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্ট কার্যক্রম চলমান।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা :

শ্রেণিকক্ষসহ সম্পূর্ণ বিদ্যালয়টি সার্বক্ষনিক সিসি ক্যামেরার আওতাভূক্ত।

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি কার্যক্রম :

(১) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

(২) বিতর্ক প্রতিযোগিতা

(৩) বনভোজন

(৪) শিক্ষা সফর

(৫) দেওয়াল পত্রিকা

(৬) মিলাদ মাহফিল

(৭) বর্ষবরণ

(৮) সকল জাতীয় দিবসমূহ উদযাপন ।

হাফ ফ্রি/ফুল ফ্রি:

গরীব এবং মেধাবীদের হাফ ফ্রি/ফুল ফ্রি এর ব্যবস্থা।

অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ :

(১) শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ধরনের ডায়েরী যার মধ্যে থাকে শিক্ষক ও অভিভাবক উভয়ের স্বাক্ষর, দৈনিক পড়া ও পড়ার অগ্রগতি।

(২) পরীক্ষার উত্তরপত্র বাসায় পাঠানো এবং পাঠোন্নতি পত্র (Progress Report) প্রদান।

(৩) নিয়মিত টেলিফোনিক ও পত্র যোগাযোগ।

(৪) বছরের নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক-অভিভাবকদের সাথে যৌথ সভা আহবান ।

ভর্তি প্রক্রিয়া : নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য প্রতি বছর ১৫ নভেম্বর থেকে ভর্তি ফরম ও প্রসপেক্টাস ১০০/- টাকার বিনিময়ে বিতরণ করা হয়। নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় । ১লা জানুয়ারী থেকে নতুন বছরের ক্লাস শুরু হয় ।

 

ছাত্র/ছাত্রীর আচরণ বিধি ও বিশেষ নির্দেশাবলী :

০১. পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করে সকল কাজ আরম্ভ করবে।

০২. পিতা-মাতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বড়দের শ্রদ্ধা করবে এবং সালাম দিবে।

০৩. জাতীয় সঙ্গীত ও শপথ শুদ্ধ উচ্চারণে মুখস্থ করবে।

০৪. প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে স্কুল ইউনিফরম পরিধান করে বিদ্যালয়ে আসবে।

০৫. স্কুল বসার ১৫ মিনিট পূর্বে স্কুলে আসবে, যথারীতি সমাবেশে যোগদান।করবে এবং সেখান থেকে সারিবদ্ধভাবে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবে।

০৬. শ্রেণিকক্ষে হৈ-চৈ করবে না এবং শৃঙ্খলার পরিপন্থি কোন কাজ করবে না।

০৭. অনুপস্থিতির জন্য অভিভাবকের স্বাক্ষরযুক্ত দরখাস্ত পরবর্তী কার্য দিবসে শ্রেণি শিক্ষক/শিক্ষিকার কাছে জমা দিবে।

০৮. অভিভাবকের লিখিত কোন সুপারিশ ব্যতীত কোন ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। কোন ছাত্র/ছাত্রী যদি বিনা অনুমতিতে সাত দিনের বেশি শ্রেণিতে অনুপস্থিত থাকে তবে তার বেতন নেওয়া হবে না এবং অনুপস্থিতির সন্তোষজনক কারণ প্রদর্শনপূর্বক ছুটির জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দরখাস্ত করতে হবে। ছুটি মঞ্জুর হলে জরিমানাসহ বেতনাদি গ্রহণ করা হবে। ০৯. শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সকল ছাত্র/ছাত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।

১০. টিফিন পিরিয়ডের পর ওয়ার্নিং বেল বাজার সাথে সাথে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবে।

১১. প্রতি মাসের স্কুলের বেতন ও অন্যান্য পাওনা ৫, ১০ তারিখে শ্রেণিতে পরিশোধ করিতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী মাসে ১০/- টাকা বিলম্ব ফি সহ অফিসে পরিশোধ করতে হবে। বেতন প্রদানের তারিখ স্কুল বন্ধ থাকলে পরবর্তী খোলার তারিখে বেতন পরিশোধ করা যাবে। একাধারে তিন মাসের বেতন বাকি পড়লে নাম কাটা যাবে। পরবর্তী পর্যায়ে দরখাস্তের মাধ্যেমে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পুনঃভর্তি ফি সহকারে উক্ত শ্রেণিতে নাম উঠাতে হবে।

১২. বিনা জরিমানায় ১৫ ও ২০ তারিখে অফিস কক্ষে বেতন গ্রহণ করা হবে।

১৩. স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

১৪. কোন ছাত্র/ছাত্রী স্কুল পালালে তাকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।

১৫. প্রতি পিরিয়ডে শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ যে পাঠদান করবেন, তা সংক্ষিপ্তভাবে | ‘স্কুল ডায়রি’ তে লিপিবদ্ধ করবে।

১৬. পরীক্ষার হলে কোন প্রকার কথাবার্তা বলবে না, প্রবেশ পত্র ও পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ব্যতীত অন্য কোন কিছু সঙ্গে আনবে না। (যেমন-স্কুল ব্যাগ)

১৭. বিজ্ঞানের ব্যবহারিক ক্লাসে অংশ গ্রহণ করতে হবে, পাঠাগার থেকে বই নিয়ে সময়মত ফেরত দিবে।

১৮. ঘন্টা পড়ার পর ৫ মিনিটের মধ্যে যদি কোন শিক্ষক শ্রেণিতে না আসেন, তাহলে  শ্রেণি ক্যাপ্টেন প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষককে অবশ্যই জানাবে।

১৯. ছুটির ঘন্টা বাজলে কোনক্রমেই হৈ চৈ করা যাবে না। ছুটির পর সকল ছাত্র/ছাত্রী সারিবদ্ধভাবে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করবে। ২০. স্কুলের দেওয়ালে, দরজায়, জানালায়, বেঞ্চে কোন কিছু লিখতে পারবে না।

২১. ‘স্কুল-ডায়রি’ হারিয়ে গেলে ১০০/-টাকা জমা দিয়ে নতুন একটি ‘স্কুল  ডায়রি’ সংগ্রহ করতে হবে।

২২. ‘স্কুল-ডায়রি’ এবং প্রগ্রেস রিপোর্টে’ কোন লেখা, নম্বর, শিক্ষক/শিক্ষিকার মন্তব্য ঘষা-মাজা করবে না বা তুলে ফেলার চেষ্টা করবে না।

২৩. প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীর ‘স্কুল-ডায়রি’টি যথাযথভাবে ব্যবহার করবে।

২৪. ‘স্কুল-ডায়রি’ টি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলো কিনা তা দেখার জন্য বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে শ্রেণি শিক্ষক/শিক্ষিকার কাছে জমা দিতে হবে। উপরোক্ত আদেশ, নিষেধ ও উপদেশগুলা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

 

সম্মানিত অভিভাবক/অভিভাবিকাগণের প্রতি নিবেদন–

০১. ‘স্কুল-ডায়রি’ তে নিজের পরিচিতি ও নমুনা স্বাক্ষর দিবেন।

০২. ছাত্র/ছাত্রীর দৈনন্দিন কার্যক্রমের বিবরণী ও উপস্থিতি ‘স্কুল-ডায়রি’ দেখে নিশ্চিত হবেন এবং যথাযথ স্থানে স্বাক্ষর দিবেন।

০৩. ‘স্কুল-ডায়রি’ দেখে তাকে পরবর্তী দিনের প্রদত্ত পাঠ প্রস্তুতিতে সাহায্য করবেন।

০৪. ‘স্কুল-ডায়রি’তে বর্ণিত ছাত্র/ছাত্রীর আচরণ বিধি অবশ্যই পাঠ করবেন এবং তদানুসারে তাকে চলতে নির্দেশ দিবেন এবং সাহায্য করবেন।

০৫. ছাত্র/ছাত্রীর লেখাপড়া ও চারিত্রিক উন্নতি সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই মাঝে মাঝে শ্রেণি শিক্ষক/শিক্ষিকার সাথে যোগাযোগ করবেন।

০৬. ছাত্র/ছাত্রী সম্পর্কে যে কোন বিষয়ে আলাচোনার জন্য আমন্ত্রণ পত্র পেলে নির্ধারিত দিনে ও সময়ে অবশ্যই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হবেন।

০৭. কোন ছাত্র/ছাত্রী পরীক্ষায় কোন প্রকার অসুদপায় অবলম্বন করলে, তার আচার-আচরণে ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে, বিদ্যালয়ের বিধি বিধান মেনে না চললে বা শৃঙ্খলার পরিপন্থী কোন কাজ করলে তার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

০৮. ছাত্র/ছাত্রী বাড়িতে নিয়মিত লেখাপড়া করে কি না, তা লক্ষ্য রাখবেন।

০৯. মনে রাখতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষক/শিক্ষিকার সম্মিলিত প্রয়াসের ফলে একজন ছাত্র/ছাত্রীর পাঠোন্নতি ও চরিত্র গঠন সম্ভব । ১০. সন্তানের পাঠোন্নতি ও চরিত্র গঠনের ব্যাপারে শিক্ষক/শিক্ষিকার স্বতঃস্ফুর্ত পরামর্শ স্মরণে রাখবেন।

 

ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সর্বাঙ্গীন কল্যাণে গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আমরা সর্বান্তকরণে অভিভাবক/অভিভাবিকা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

ধন্যবাদান্তে

খন্দকার আফিয়া সুলতানা

প্রধান শিক্ষক